এই পোস্ট টা পরলে আপনার ট্রেডের প্রফিটও বেড়ে যাবে। গ্যারান্টি!!

FBS VPS

আমরা যারা কিছু কর্ম করি, তা চাকুরী হোক বা ব্যবসা, সব কর্মের পিছনেই একটা অভিন্ন উদ্দেশ্য থাকে। তা হল আয় রোজগার করা। এই আয় রোজগারের সাথেই আমাদের জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া সরাসরি সম্পর্ক বিদ্যমান। 

একইভাবে ফরেক্স এ বেশিরভাগ মানুষই আসে অন্যের কথা শুনে বা অন্যের গালভরা গল্প শুনে, তবে সেই গল্পগুলো হয় কাড়ি কাড়ি টাকা ইনকাম করার। মানুষের সহজাত স্বভাব দিয়ে এতে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর কুয়োর ব্যাঙের সাগরে পড়ার মত নাকানিচুবানী খেয়ে কোনমতে উঠে পড়ে, আর নয়তো কেউ কেউ বেঘোরে তার শেষ সম্বলটুকুও হারায়।

Advertisements
Ad 7

কিন্ত কেন? কেন হবে এই অবস্থা? আসুন একটু জেনে নেই আগে, এরপর আমরা জেনে নেব এর সমাধান।

ধরুন, আপনি দেশে কোন জায়গায় চাকুরী করেন। প্রাথমিক অবস্থায় বেতন হবে ৮-১০ হাজার টাকার মত, খুব ভাল হলে ১৫-২০ হাজার হতে পারে। অথচ এর পিছনে আপনার মুলধন কি? বিগত ১৬-১৭ বছরের একটানা পড়াশোনা ও সফলভাবে উত্তীর্ণ হওয়া।এতো দীর্ঘ সময়ের বিনিময়ে আপনি মাত্র ৮-১০ বা ১৫-২০ হাজারের বেতনেই সন্তষ্ট হচ্ছেন। তাই নয় কি?
এবার

Advertisements
Ad 7
আসি কাজের কথায়, ফরেক্স শব্দটাই আপনি কারও কাছে শুনেছেন ২ মাসও হয়নি। এর ভিতর আপনি ডিপোজিট থেকে শুরু করে সকল প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন এমনকি মাসে লাখ লাখ টাকা, নুন্যতম ৪০-৫০ হাজার টাকা আয়ের স্বপ্নও দেখে ফেলছেন!! আদৌ স্বপ্নটা বাস্তব কিনা ভেবেছেন কখনও??
টানা ৫ বছর ট্রেড করে প্রফিট করেছেন, এমন ট্রেডার বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়জন পাওয়া যাবে আমি জানিনা। তবে কথায় কথায় জ্ঞান দেবার মত বেশ কিছু ট্রেডারভাই আছেন যারা আইবী কমিশন বেশ ভালো পায়। কিন্ত আইবী কমিশন ফরেক্সের একটা পার্ট মাত্র। ফরেক্স এর মুলধারা নয়। মুলধারা হচ্ছে ট্রেড করে প্রফিট বের করে আনা মার্কেট থেকে। কারন আইবীতে অন্যের ট্রেডের স্প্রেড কমিশনের একটা অংশ নেওয়া হয়, কিন্ত মুল মার্কেটের কিছুই বের করে আনা হয়না। আমাদের উদ্দেশ্য ফরেক্স মার্কেট থেকে মুল প্রফিট বের করে আনা। 

Advertisements
Ad 7

তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন জায়গায় দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলে আপনার ট্রেডিং এর রেজাল্টেও পরিবর্তন চলে আসবে। 

  • প্রথমেই বলব একটা নির্দিষ্ট স্ট্রাটেজী বের করতে। আন্দাজের উপর ভর করে কখনো ট্রেড করবেন না। অনেক উপরে উঠে গেছে এবার সেল দেই, বা অনেক নিচে নেমে গেছে এবার বাই দেই, এমন করবেন না। হুজুগের বশে নিজের পয়সা হারানোর কোন মানেই হয়না। ভেবে চিনতে বা গুগলে সার্চ দিলেও অনেক অনেক স্ট্রাটেজী পাবেন, সেগুলো ভালভাবে দেখে ঘোষামাজা করে আপনার নিজের মত করে একটা ট্রেডিং সিস্টেম তৈরী করে ফেলুন।
  • এবার আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজীকে নির্দিষ্ট কোন এক টাইম ফ্রেমে (এইচ ফোর এর উপরের কোন একটা) বসিয়ে একের পর এক পেয়ার ধরে ধরে যাচাই করে নিন। কোন এক মাস ধরে ধরে লাভ লস মিলিয়ে হিসেব বের করুন। এভারেজ কেমন প্রফিট আসে আর প্রতি দশটা ট্রেডে এভারেজ কতটা প্রফিটে থাকে এই হিসেব করে ফেলুন।
  • সব হিসেব শেষে বের করুন কোন পেয়ারে ভাল রেজাল্ট এসেছে সব দিক দিয়ে।এবার শুধুমাত্র সেই এক পেয়ার নিয়েই ট্রেড করতে থাকুন। ভুলেও ৫-৬ বা ১০-১২ টা কারেন্সী পেয়ার নিয়ে ট্রেড করতে যাবেন না। মনে রাখবেন সমুদ্রে জেলিফিস ধরার জাল দিয়ে আপনি হাঙ্গর বা তিমি মাছ ধরতে পারবেন না। তেমনি একটা স্ট্রাটেজী দিয়ে আপনি আমেরিকা, বৃটেন এমনকি ইউরোপকেও যদি কন্ট্রোলে রাখতে চান তাহলে ভুল করার সম্ভাবনাটাই বেশি হবে। কারন প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক মুভমেন্ট একই ধারায় চলে না। 
  • এবার বাছাইকৃত সেই পেয়ারের ব্যাকটেস্ট করুন মাসের পর মাস ধরে ধরে। একটা ভাল আইডিয়া পেয়ে যাবেন। কোন কোন পরিস্থিতিতে রেজাল্ট খারাপ বা ভাল আসে তার ব্যাপারেও পরিস্কার ধারনা পেয়ে যাবেন তাহলে। এটাই আপনাকে সাহায্য করতে আপনার রেগুলার প্রফিট বের করে আনতে।
  • মাসে ২-৫ হাজার পিপ্স এর আশা বাদ দিয়ে ২-৩ শত পিপ্সের সন্তষ্ট থাকেন। মনে রাখবেন এমন ট্রেডারও আছে যারা মাসে ১০০ পিপ্স এ মিলিয়ন ডলারও আয় করে। 
  • ধীরে ধীরে ব্যালান্স বাড়ান। তবে বার বার ডিপোজিট করে নয়। প্রফিট করে করে। বাড়তি কোন পেয়ারে যাবার প্রয়োজন নেই। একটা পেয়ারেই স্থির থাকুন।
  • আর এক বারে একটা ট্রেডের বেশি ট্রেড ভুলেও নেবেন না। একটা ট্রেড শেষ হলে এরপর পরের ট্রেডে যাবেন।
  • স্পেসিফিক টেকপ্রফিট ও স্টপ লস সেট করবেন।
  • এবার ফলাফল হাতে নাতে দেখুন।

Advertisements
Ad 7

Related Posts

x